নিউইয়র্ক থেকে খলকু কামাল, ১৯ মার্চ ২০১৮: নেতৃত্বের দেউলিয়াত্বে ও দিক-নির্দেশনার অভাবে মুসলিম বিশ্ব যখন দিশেহারা-বিপর্যস্ত, তখন কোটি কোটি হতাশ মানুষের মনে স্বপ্নের প্রদীপ হিসেবে আপনার নামটিই উচ্চারিত হচ্ছে।
হৃত গৌরব পুনরুদ্ধারের স্বপ্নে বিভোর মুসলিম বিশ্ব তাদের কান্ডারী হিসেবে এগিয়ে যেতে চায় আপনার নেতৃত্বে। আপনার চরিত্রের দৃঢ়তা, নেতৃত্বের বলিষ্ঠতা এবং আদর্শ বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের হৃদয়কে আন্দোলিত করেছে। এই সময়ে যাকে নিয়ে আমরা স্বপ্নের জাল বুনি সেই ব্যক্তিত্ব হলেন আপনি। তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্ভুক্ত অখ্যাত অজানা তুরস্ক আজ উন্নত দেশের প্রতীকী দেশ। আধুনিক টার্কির অর্থনৈতিক রূপকার হিসেবে আপনার নামই সর্বত্র উচ্চারিত। সঠিক নেতৃত্ব একটি জাতিকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ হলো আজকের মুসলিম বিশ্বের অহংকার তুরস্ক। একজন প্রবাসী বাংলাদেশী হিসেবে ১৯৮৪ সাল থেকে জন্মভ‚মি সিলেট সিটি ছেড়ে হাজার হাজার মাইল দূরে নিউইয়র্কের মতো ব্যস্ততম নগরীতে এসে অবস্থান করে শ্রমজীবী হিসেবে সপ্তাহে কাজ করি ৫ দিন। জীবন সংগ্রামের পাশাপাশি দেশের কল্যাণ মুসলিম বিশ্বের কোটি কোটি অসহায় ভুক্তভোগী দরিদ্র মেহনতী জনগোষ্ঠীর চিন্তায় আমাকে তাড়িত করে সর্বক্ষণ। তাদের কথা স্মরণ হলে মনটা খুবই ছটফট করে। তখন তো আমার কোনো সামর্থ্য নেই যে তাদের সাহায্য করি। তখন মনে হয় প্রাণভরে কাঁদি। ওদের নানাবিধ সমস্যা নিয়ে গত আড়াই যুগ থেকে বাংলাদেশী পত্রপত্রিকায় বিভিন্নভাবে লেখালেখি করে আসছি। পাশাপাশি পত্রপত্রিকায় যখন বিশ্বের দুঃখ-দুর্দশা আর দৈন্যতা দেখি, তখন বিমর্ষতায় আচ্ছন্ন হই। নিজে প্রশ্ন করি, কখন সেই নেতা আসবেন। যার প্রত্যাশায় আজকের কোটি কোটি মুসলিম অসহায় জনগোষ্ঠী। তখন যে মানুষটির চেহারা আমার মানসপটে ভেসে উঠে সে হলো বিশ্বের সেরা ২০টি দেশের মধ্যে ১৫তম অর্থনৈতিক দেশ, বিশ্ব বিখ্যাত কার্পেটের দেশ, ন্যাটো জোটের অন্যতম সামরিক শক্তির দিক দিয়ে ১৪/১৫ লাখ আর্মির দেশ, বিশ্বের ৪র্থ বৃহৎ বিমান কোম্পানি ২৬২ রুটে চলাচলকারী দেশ, মুসলিম বিশ্বের কান্ডারী ১৬০ কোটি মুসলিম নর-নারী ও ৫৫টি মুসলিম দেশের একমাত্র ন্যায়পরায়ণ বাদশা, মুসলিম বিশ্বের বিবেক ও গর্ব এবং অহংকার, ইসলামপ্রিয় ব্যক্তিদের নয়নমণি ইসলামিক ইস্তাম্বুল সিটির সাবেক মেয়র এবং ওআইসির বর্তমান মহাসচিব মুসলিম বিশ্বের শীর্ষ কৃতী সন্তান, প্রায় ৮ কোটি জনসংখ্যার টার্কির ৫২ শতাংশ ভোট পেয়ে যিনি নির্বাচিত ও তাদের দেশের স্বনামধন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আমার অতি প্রিয় আত্মার আত্মীয় যার জন্য প্রতিদিন ২ রাকাত নফল নামাজ আদায় করে দোয়া করি, যিনি ইনশাআল্লাহ আগামীতে ১৬০ কোটি মুসলিমদের সঠিক নেতৃত্ব দিবেন যার অপেক্ষায় বিশ্ব তাকিয়ে, তারা আজ লাঞ্ছিত ও বঞ্চিত।
হে অসহায় মুসলিম বিশ্বের খাদেম
এ মুহূর্তে মুসলিম বিশ্ব মনে করে, ফিলিস্তিনকে মুক্ত করা মুসলিম বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ও ঈমানী দায়িত্ব। এর চেয়ে অগ্রাধিকার পাওয়ার মতো কোনো জটিল সমস্যা মুসলিম বিশ্বের সামনে নেই। মুসলিম উম্মার যে দিকেই তাকানো যায় দেখা যায়, শুধু জখমের চিহ্ন। দুনিয়াতে ১৬০ কোটি মুসলিমসহ ৫৫টি রাষ্ট্র রয়েছে, যারা অর্থ-বিত্তে এবং ৫/৬টি দেশ সামরিক দিক দিয়েও অনেক শক্তিশালী অথচ তাদের মধ্যে গুটিকয়েক আরব দেশের অনৈক্যের কারণে মুসলিম বিশ্ব আজ অসহায়। ট্রাম্প একজন মুসলিম বিদ্বেষী হওয়ার কারণে ইহুদি আমেরিকান তাকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত করেছে। মুসলমানরা যত দিন আল্লাহর বিধান মতে তাদের শত্রæ ও বন্ধু চিহ্নিত করতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত আরব বিশ্ব সঠিক মুসলিম নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হতে পারবে না।
তিনটি ধর্মের লোকের জন্যই পবিত্র শহর পূর্ব জেরুজালেম বিখ্যাত। জেরুজালেমের এক-তৃতীয়াংশ জনগোষ্ঠী হচ্ছে ফিলিস্তিনি। তারাও যুগ যুগ ধরে এখানে বাস করছেন। ১৯৬৭ সালের ৫ দিনের যুদ্ধে ইসরাইল পূর্ব জেরু জালেম দখল করে নেয়। মুসলিমদের জন্য রয়েছে পবিত্র আল আকসা, যেটা মুসলিমদের তৃতীয় ধর্মীয় স্থান হিসেবে বিবেচিত।
মুসলিম জাহানের বর্তমান হে খলিফা
দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাপ-বেটার মুনাফিক শাসকদের মতো তাদের আরো ৩টি তাবেদার রাষ্ট্রের কারণে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র আজও বাস্তবায়ন হয়নি। ওরা মুসলিমদের চরম শত্রæ ইহুদির সাথে তলে তলে মধুর সম্পর্ক বজায় রাখছে। আল্লাহ পাকের সাথে সম্পর্ক না রেখে তারা আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য ইসরাইলের সাথে এই মাখামাখির আচরণ কোন বিবেকবান মুসলিম দেশ ও জাতি সমর্থন করেনি।
কুরআন ও হাদিস মতে যাদের সাথে চলাফেরা, উঠাবসা, তাদের সাথেই হাসর হবে। অতএব ইহুদিদের সাথে ওই চারটি শাসক গোষ্ঠীর দহরম মহরম থাকার কারণে আমার দৃঢ়বিশ্বাস তাদের সঙ্গেই এই বেঈমানদের হাসর হবে। তারা আজ মুসলিম বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন একমাত্র তাদের মুনাফিকী আচরণের কারণে। স¤প্রতি আরব রাষ্ট্রের অতি পিচ্চি দেশের মুসলিম নামধারী ২৫ সদস্যের একটি মুনাফিকদের প্রতিনিধি দল ইসরাইলের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য ও ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করার উদ্যোগে তেলআবিব সফর করে।
শ্রদ্ধেয় পাঠক আপনারাই বলুন, ওদেরকে থুথু, ঘৃণা আর আল্লাহর লানত ছাড়া আর কি বা দেওয়ার আছে। তারা নাকি শুকরের বংশধর ইহুদীদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য করে অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবে। আর আমার ইচ্ছে হয়, ওই সমস্ত গাধা ও বেইমানদেরকে স্মরণ করে দিতে যে মাত্র ৬০ লাখ ইসরাইলীদের সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য না করে এর চেয়ে উত্তম ৫৫টি মুসলিম দেশের নবীর উম্মত ১৬০ কোটির সাথে ব্যবসা ও পুরোপুরি ক‚টনেতিক সম্পর্ক এবং বিমান যোগাযোগ স্থাপন করলে হাজার হাজার গুণ বেশি বরকত আল্লাহ দিবেন। কারণ হচ্ছে, আল্লাহর উপর তাদের আস্থা, বিশ্বাস নেই বলেই তারা আমোদ-ফুর্তি, বিলাসিতা নিয়ে মহাব্যস্ত। তাদের এই আবোল-তাবোল বকাবকির শয়তানদের কাছ থেকে পরহেজগার মুসলিম বিশ্ববাসী সাবধান। মুসলিম জনগোষ্ঠী দূরে থাকা ফরজ।
হে মুসলিম বিশ্বের আপোষহীন ইসলাম প্রিয় নেতা
বাপ-বেটার খপ্পর থেকে পূর্ব জেরুজালেম নগরীকে রক্ষা করতে হবে। কারণ রাজতন্ত্রের নামে ওই বর্ণবাদী গোষ্ঠীরা গোটা দেশকে জবর দখল করে রেখেছে। তাদের রাজকীয় বিলাসিতা ও সীমাহীন অপচয় চরম ইসলাম বিরোধী। এটা কোন অবস্থায়ই মেনে নেয়া যায় না। ওই ইহুদির দালাল চামচা শাসক গোষ্ঠীর পরিবর্তন ও জাতিসংঘের দুই রাষ্ট্র নীতির ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়ায় কিয়ামত পর্যন্ত শান্তি আসবে না।
মুসলিম বিশ্বের প্রধান শত্রæ ইহুদিদের বিরুদ্ধে গোটা মুসলিম সমাজ সোচ্চার হতে হবে। নতুবা একদিন তারা আশেপাশের আরব রাষ্ট্রকে গিলে ফেলবে। মনে রাখা উচিত ওরা মুসলিমদের সাথে কিয়ামত পর্যন্ত দুশমনি করেই যাবে। ওদেরকে কালকের জন্যই বিশ্বাস করা যাবে না। ওরা মানবতার শত্রæ, মুসলিম জাহানের শত্রæ, সচেতন বিশ্ববাসীদের শত্রæ। ওদের কথাবার্তা, ওয়াদা কোন কিছুর ঠিক নেই। ওরা বেঈমান জাতি হিসেবে বিশ্বের কাছে পরিচিত। ওরা আল্লাহর নবীজীকে প্রচণ্ড কষ্ট ও আঘাত দিয়েছে। ওইগুলো মনে হলে গা শিউরে উঠে। ওদের আচরণকে চরমভাবে ঘৃণা করতে হবে।
পত্রপত্রিকা খুললেই দেখা যায়, প্রতিদিন গাজা ও পূর্ব জেরুজালেমে ফিলস্তিন মুসলিম ভাইয়েরা শহীদ হচ্ছেন। তাই ১৬০ কোটি মুসলিমদের তৃতীয় পবিত্র নগরী পূর্ব জেরুজালেমের মর্যাদা রক্ষার দায়িত্ব প্রতিটি মুসলিমদের। বিশেষ করে ক্ষমতাশালী বিশ্বের মুসলিম শাসকদের।
হে মুসলিম বিশ্বের ন্যায়পরায়ণ খলিফা
আমরা চাই একমাত্র আপনার সিরিয়াস নেতৃত্বে ১৬০ কোটি মুসলিম তথা ৫৫টি মুসলিম দেশের রাজা-বাদশা যদি অন্তর দিয়ে ইস্পাত কঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে পারে, তাহলে অনেক কিছুই অর্জন করা সম্ভব।
১৯৬৭ সালে আরব ইসরাইল যুদ্ধের পর থেকে ২০১৮ সালের এ সময় পর্যন্ত হাজার হাজার নারী, শিশু, পুরুষকে জালিম ইহুদি সরকার হত্যা করেছে। তাদের শক্তির জোড়ে পূর্ব জেরুজালেমের হাজার হাজার একর জায়গাজমি দখল করে লাখ লাখ বাড়িঘর বসতবাড়ি তৈরি করেছে। এ দীর্ঘ ৫০ বছরের মধ্যে তারা কোন ধরনের শান্তি চুক্তি অথবা সমাধানের ধারে কাছেও যেতে রাজি নয়। একতরফা গায়ের জোরে যা ইচ্ছে তাই করছে। তাই অনেক হয়েছে আর নয়। এখন আর পিছনে তাকানোর সময় নেই। ইহুদিদের বিরুদ্ধে কঠোর সামরিক শক্তির চিন্তা করতে হবে। কারণ তাদের ভয়ে ময়দানে শক্তি পরীক্ষার না নামেন তাহলে মুসলিম বিশ্বের ৫৫ লাখ আর্মি এবং বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের অত্যাধুনিক মারণাস্ত্র কিনে অথবা নিজে তৈরি করে মজুদ রাখার উদ্দেশ্যই একটি যে কোন শত্রæর মোকাবেলার দেশ ও জাতিকে রক্ষা করা। তাই বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের সামরিক শক্তির দেশ টার্কি, ইরান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া সরকারের উচিত অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদকে সাজিয়ে না রেখে মুসলিম বিশ্বের এই মহা মছিবতের সময় এই অস্ত্রের সদ্ব্যবহার করতেই হবে।
মুসলিম জাহানের প্রথম কিবলা ও নবীজীর মেরাজের যাওয়ার স্মৃতি বিজড়িত মসজিদ আল আকসাকে কাফিরদের কাছ থেকে কেনো উদ্ধার করা হলো না, কিয়ামতের ময়দানে সে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে পারে। মুসলিম বিশ্বের সবার মনে রাখা প্রয়োজন, ইসলামের প্রথম বছর যুদ্ধে ৩১৩ জন সাহাবী এক হাজার কাফিরদের বিরুদ্ধে সেদিন ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন একমাত্র ঈমানী শক্তির কারণে। এ সংকটময় মুহূর্তে অন্তর থেকে চোখের পানি ফেলে প্রাণভয়ে আল্লাহর সাহায্য সহযোগিতা কামনার মাধ্যমে আল্লাহকে হাজির নাজির মনে করে মুসলিম বিশ্বে যা আছে তাই নিয়ে জেরুজালেমের ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়তেই হবে।
মুসলিম বিশ্বের হে ঈমানদার ও সাহসী তুরস্ক/টার্কির মহামান্য রাষ্ট্রপতি
মহান রাব্বুল আলামীন আপনার মাঝে যে ঈমান শক্তি, জজবা ও সাহস দিয়েছেন, গোটা মুসলিম উম্মার চরম বিপদের সময় এখনই তা কাজে লাগাতে হবে। ১৬০ কোটি মুসলিম বিশ্ব আপনার হুকুমের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছেন। সেদিন আর বেশি দূরে নয়, হযরত ওমরের উত্তরসুরী বর্তমান ওআইসির চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে পূর্ব জেরুজালেম মুক্ত হয়ে ফিলিস্তিনের রাজধানী হবেই ইনশাআল্লাহ। আমিন।
আমার প্রস্তাবগুলো বিশেষভাবে বিবেচনার অনুরোধ
# রমজান মাসে তৃতীয় বিশ্বের অনেক দরিদ্র মুসলিম নর-নারী ওমরা করে। ওই সময় সৌদি জালিম শাসক তাদের সৌদি এয়ার ওমরা যাত্রীদের থেকে অধিক ভাড়া আদায় করে, তাই মুসলিম বিশ্বের নিবেদিত প্রাণের কাছে বিনীত নিবেদন যে, মুসলিম উম্মার স্বার্থে যে সমস্ত ওমরার যাত্রী টার্কি এয়ার ইস্তাম্বুল হয়ে জেদ্দা যাবে তাদেরকে ৭২ ঘণ্টা ফ্রি ট্রানজিট ভিসাসহ রিটার্ন টিকিট অন্য যে কোনো এয়ার থেকে সস্তা রাখা। যাতায়াতের পথে তারা যাতে নবীজীর অতি প্রিয় সাহাবী আবু আইয়ুব আনসারীর মাজার জিয়ারত ও ইস্তাম্বুলের অনেক ইসলামী ঐতিহ্য দেখার সুযোগ পান। এতে সকল ছওয়াবের ভাগীদার আপনি হবেন। টার্কি এয়ারের ব্যবসা ইনশাআল্লাহ বেড়ে যাবে এবং অর্থনৈতিকভাবে দেশটি লাভবানই হবে। বিষয়টি একান্তভাবে ভেবে দেখবেন।
# ওআইসির পক্ষ থেকে এক লাখ সেনাবাহিনীর একটি শক্তিশালী সামরিক জোট গঠন, এর সদর দফতর টার্কির যে কোন সিটিতে স্থাপন এবং প্রতিটি মুসলিম দেশ থেকে ন্যূনতম ৫০০ করে আর্মি নিয়ে বড় বড় আর্মির দেশ যেমন টার্কি, ইরান, পাকিস্তান ও ইন্দোনেশিয়া থেকে বাকি আর্মি সংগ্রহ করা।
# মুসলিম বিশ্বের স্বার্থে ইস্তাম্বুলে ওআইসির সকল সদস্য রাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের জন্য ৫/৭ তালা একটি বিল্ডিং নির্মাণ করে ৫৭ জাতির জন্য ৫৭টি ফ্রি অফিস বরাদ্দ করা। ইনশাআল্লাহ এতে টার্কির সাথে প্রতিটি মুসলিম দেশের সুসম্পর্ক স্থাপন হবে।
# মুসলিম বিশ্বের প্রধান সমস্যা নিজেদের মধ্যে ইস্পাত ঐক্য গড়ে তোলা ও পবিত্র ভ‚মি পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী এবং প্রয়োজনে সামরিক প্রতিরোধের মাধ্যমে ৬৭ সালের পূর্বের সীমানা নিয়ে ফিলস্তিনকে পৃথক রাষ্ট্রের মর্যাদা দেওয়া।
# ইস্তাম্বুলে মুসলিম বিশ্বের পাইলটদের স্বার্থে একটি সর্ববৃহৎ অত্যাধুনিক পাইলট ট্রেনিং ইন্সটিটিউট স্থাপন যাতে বিশ্বের সকল মুসলিম পাইলটরা এখান থেকে সর্বোচ্চ খেতাব অর্জন করতে পারে।
# মুসলিম দেশগুলোর পারস্পরিক বিরোধ নিজেরাই মেটানো।
# সকল ধনী মুসলিম দেশসমূহের উচিত অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলো থেকে শ্রমিক আমদানী করা।
# ৫৫টি মুসলিম দেশের প্রত্যেকের সাথে প্রত্যেকের ক‚টনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও বিমান সার্ভিস চালু।
# সকল মুসলিম দেশসমূহকে নিজেদের মধ্যকার বাজারকে আরো সচল করার লক্ষ্যে ইসলামিক কমন মার্কেট করে ব্যবসা বাণিজ্যকে আরো জোরদার করা।
# মুসলিম বিশ্বের কলঙ্ক সৌদি শাসক গোষ্ঠীর চাপে ফিলিস্তিন যাতে কোন অবস্থায়ই আবুদিস এলাকাকে রাজধানী না মানে তার জন্য মাহমুদ আব্বাসের প্রতি কড়া নজর রাখা।
# প্রতিটি মুসলিম দেশ নিজেদের পায়ে দাঁড়ানো একান্ত জরুরি। তাই এখান থেকে সবাই নিজেরা নিজ দেশে পাইলট, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, নার্স, আইটি এক্সপার্টসহ সকল প্রকার দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে নিজেরা স্বাবলম্বী হওয়ার শপথ নেয়া। কোন অবস্থায়ই বাহির থেকে হায়ার না করা।
# সকল মুসলিম দেশ, মুসলিমদের সহজ গমনাগমনের জন্য ভিসা পদ্ধতি শিথিল করা।
সব শেষে আমি মনে করি হে ইসলামী বিশ্বের মহান নেতা, আল্লাহ পাক আপনাকে হযরত ওমরের মতো যে ইসলামী শক্তি ও সাহস দিয়েছেন তাকে এখনই মুসলিম বিশ্বের ১৬০ কোটি ন্যায়সঙ্গত কাজে লাগাতে হবে। মুসলিম বিশ্বের সুখ-দুঃখের কথা ফিলিস্তিনিদের প্রধান সমস্যার কথা কিভাবে দ্রæত সমাধান হয় তার অগ্রণী ভ‚মিকা আপনাকেই নিতেই হবে। আমার ুদ্র মানুষের মনের আকুতি ও চিন্তা-ফিকির মুসলিম বিশ্বের অতি গুরুত্বপূর্ণ দাবিগুলো ন্যায়পরায়ণ বাদশার দরবারে পেশ করেছি। বড় বড় নেতাদের সাথে শক্তিশালী লবিং করে দাবিগুলো যাতে কাজের মাধ্যমে দ্রæত আদায় হয় তার জন্য বাস্তবমুখী পদক্ষেপের দায়িত্ব আপনাকে নিতে হবেই। এতে একদিকে ওই সমস্ত গরিব দেশের সাধারণ মানুষের অন্তরের দোয়া পাবেন। অন্যদিকে আপনার অফুরন্ত চেষ্টা ও তদবিরের সাওয়াব কিয়ামত পর্যন্ত কবরে শুয়ে শুয়ে এর সুফল পাবেন। পাশাপাশি মুসলিম বিশ্বের ইসলাম প্রিয় নর-নারীর হৃদয়ে আপনার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে অনন্তকাল ইনশাআল্লাহ।
সবশেষে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে শেষ করছি। প্রায় গত তিন যুগ থেকে এ পর্যন্ত সমস্যাভিত্তিক অজস্র লেখালেখি করে ওইগুলো কাজের মাধ্যমে বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে শক্ত লবিং করেছি এবং করে যাচ্ছি। দুনিয়া থেকে শেষ বিদায়ের আগ পর্যন্ত রাব্বুল আলামীনের কাছ থেকে পাওয়া ুদ্র এ মেধা শক্তি দেশের ১৬ কোটিসহ ১৬০ কোটি মুসলিম নর-নারীর উন্নয়নের স্বার্থে ভবিষ্যতের স্বার্থে ১৬ আনা আন্তরিকতার সাথে আল্লাহকে হাজির নাজি জেনে দ্রæততার সাথে কাজ করবো। দাবিগুলো বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত জোড়ালোভাবে শক্ত লবিং করে যাবো। পত্রপত্রিকায় লিখে ও দূতাবাসের মাধ্যমে লেখা প্রেরণ করে বসে থাকার পাত্র আমি নই। প্রতি তিন মাস অন্তর ফলোআপ করে আমার প্রচণ্ড লবিং চলছে, চলবে জান কবজ হওয়ার আগ পর্যন্ত ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ পাক মুসলিম বিশ্বের স্বার্থে আমার মনের ব্যথা ও কষ্ট কবুল করুন, আমিন।
পরিচিতি : লেখক, গবেষক ও সমাজসেবক।